আজ সোমবারের (৩১ জুলাই) মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের সিদ্ধান্ত না দিলে আগামী কাল মঙ্গলবার থেকে লাগাতার অনশন কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন জাতীয়করণের দাবিতে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির (বিটিএ) নেতৃত্বাধীন আন্দোলরত শিক্ষকরা।
গত রোববার জাতীয়করণের দাবিতে ২০তম দিনে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি থেকে এই ঘোষণা দেন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির (বিটিএ) এর সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ কাওছার আহমেদ।
কাওছার আহমেদ বলেন, গত ৭ জুলাই মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক নেহাল আহমেদ এবং বিটিএ’র সভাপতিসহ আমরা ৫ সদস্যের প্রতিনিধিগণ বৈঠক করি। মহাপরিচালক বিটিএ’র নেতৃবৃন্দের সাথে শিক্ষামন্ত্রীর বৈঠকের আয়োজন করেন। শিক্ষা মন্ত্রীর বৈঠকে কিছু সংগঠনকে বাদ দিয়ে আন্দোলনরত বিটিএ’র পাশাপাশি মূল ধারার শিক্ষক সংগঠনসহ সরকারের আশির্বাদপুষ্ট একটি সংগঠনের অঙ্গসংগঠনের অখ্যাত, স্বঘোষিত ও সদ্য গজিয়ে ওঠা থানা/মহানগর পর্যায়ের শিক্ষক নেতাদেরও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। যারা বৈঠকে আন্দোলনরত শিক্ষক- কর্মচারীদের সম্পর্কে বাজে মন্তব্য করে বৈঠকের পরিবেশ ঘোলাটে করার চেষ্টা করে।
তিনি জানান, বৈঠকের পূর্বে ও পরে শিক্ষা মন্ত্রীর শিক্ষকদের কটাক্ষ করে দেয়া বক্তব্য ও গ্রীষ্মের ছুটি বাতিলের সিদ্ধান্তে সরাদেশের বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীগণ মর্মাহত হন। গ্রীষ্মের ছুটি শীতকালে প্রদানের ঘোষণায় সারাদেশের ছাত্র, শিক্ষক ও অভিভাবকদের মধ্যে সমালোচনার ঝড় ওঠেছে। শিক্ষক-কর্মচারীগণ শিক্ষামন্ত্রীর অসৌজন্যমূলক বক্তব্যসহ গ্রীষ্মের ছুটি বাতিলের নির্দেশ প্রত্যাখানের ফলে প্রেস ক্লাবের সামনে প্রতিনিয়ত শিক্ষক-কর্মচারীদের উপস্থিতি বাড়ছে। ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত না পেলে ১ আগস্ট থেকে আমরণ অনশনে যাবার ঘোষণা দিচ্ছি আমরা।
এর আগে নির্বাচনের আগে জাতীয়করণ সম্ভব নয় জানিয়ে সম্প্রতি শিক্ষামন্ত্রী শিক্ষকদের শ্রেণিকক্ষে ফিরে যেতে বলেছিলেন। তবে ওই সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ নিয়ে কাজ চলছে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। যদিও দাবি আদায় না হওয়ায় আন্দোলন অব্যাহত রেখেছেন শিক্ষকরা, তারা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ প্রত্যাশা করছেন।
গত ১১ জুলাই সারাদেশ থেকে বেসরকারি মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ঢাকায় এসে এই আন্দোলনে যোগ দেন।