ঢাকার কেরানীগঞ্জে ধারালো অস্ত্র দিয়ে নৃশংসভাবে কুপিয়ে সাইফুল ইসলাম (২৬) নামে এক ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার আগে কাঁটা চামচ দিয়ে নিহতের দুই চোখ উপড়ে ফেলা হয়।
রবিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার শুভাড্ড্যা ইউনিয়নের খেজুরবাগ সাতপাখি স্কুল রোড এলাকায় একটি মুদি দোকানের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
এলাকাবাসী জানায়, রবিবার দিবাগত রাতে সাতপাখি এলাকায় নূর মোহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশে একটি ডিমের দোকানে বসা ছিলেন সাইফুল। এ সময় ১০ থেকে ১২ জনের একটি দল প্রথমে পিটিয়ে ডিমের দোকানে থাকা কাটা চামচ দিয়ে দুই চোখ উপরে ফেলে সাইফুলের। পরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথা ও হাতে কুপিয়ে জখম করলে তার চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে উদ্ধার করে মিটফোর্ড হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের ছোট বোন পপি আক্তার বলেন, আমার ভাইয়ের আমেরিকা যাওয়ার কথা ছিল। ইতিমধ্যে তার ভিসাও চলে আসে। রবিবার তাকে সারপ্রাইজ দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আমার ভাই আমেরিকার বদলে চলে গেল পরপারে। আমি আমার ভাই হত্যাকারীদের বিচার চাই।
নিহতের দুলাভাই রুবেল জানান, সাইফুল পুলিশের সোর্সের কাজ করতো। এলাকার অনেক মাদক ব্যবসায়ীকে পুলিশে ধরিয়ে দিয়েছে সে। কিছুদিন আগে জানে আলম নামে একজনকে ধরিয়ে দেওয়ায় সে জামিনে বেরিয়ে দলবল নিয়ে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে তার অভিযোগ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ-জামান ঢাকাটাইমসকে জানান, মিটফোর্ড হাসপাতালে লাশের সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি মর্গে রাখা হয়েছে। হত্যাকারীদের শনাক্ত করা হয়েছে এবং তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। এ ঘটনায় এখনও কোনো মামলা করা হয়নি।
তিনি কি পুলিশের সোর্স ছিলেন এমন প্রশ্নের জবাবে ওসি বলেন, শুনেছি সাইফুল ডিবি ও র্যাবের সঙ্গে কাজ করতো। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
নিহত সাইফুল শরীয়তপুরের ভেদেরগঞ্জ থানার বাসিতপুর গ্রামের আব্দুল খালেক মিয়ার ছেলে। বর্তমানে পরিবারের সঙ্গে খেজুরবাগ সাতপাখি এলাকায় আওলাদ মিয়ার ভাড়া বাড়িতে বসবাস করত।