মার্কিন অর্থমন্ত্রণালয়ের সংবেদনশীল তথ্যে অ্যাক্সেস পেয়েছে ইলন মাস্কের সরকারি সক্ষমতা অধিদফতর ( দ্য ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট ইফিসিয়েন্সি বা ডোজে)। ফলে নাগরিকদের সামাজিক নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যসেবা সংক্রান্ত তথ্য এখন যাচাই করতে পারবে সংস্থাটি। এই বিষয়ে অবগত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুই ব্যক্তির বরাতে মার্কিন বার্তাসংস্থা এপি এ খবর জানিয়েছে।
ট্রাম্প প্রশাসনের এই বিশেষ টাস্কফোর্স ফেডারেল কর্মীদের ছাঁটাই, বিভিন্ন সরকারি কর্মসূচি সংকোচন এবং ফেডারেল নিয়মকানুন শিথিলের মাধ্যমে সরকারি ব্যয় হ্রাসের লক্ষ্যে গঠিত হয়েছে। এর দায়িত্বে আছেন ট্রাম্পের উপদেষ্টা ও টেসলা মালিক ধনকুবের ইলন মাস্ক। তাদের নব্যপ্রাপ্ত অধিকারের কারণে করদাতাদের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের উপর বিস্তৃত নিয়ন্ত্রণের সুযোগ করে দিতে পারে।
ফেডারেল পেমেন্ট সিস্টেমে সংস্থাটির অ্যাক্সেস পাওয়ার কথা প্রথম জানায় মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস।
ডোজের নতুন অধিকার নিয়ে অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্টের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে নিজের উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সিনেটের অর্থ পরিষদের শীর্ষ ডেমোক্র্যাট রন ওয়াইডেন। তার আশঙ্কা, মাস্কের সংশ্লিষ্টরা পেমেন্ট সিস্টেমে পাওয়া অ্যাক্সেস ব্যবহার করে বিভিন্ন সরকারি কর্মসূচির অর্থ অবৈধভাবে আটকে দিতে পারেন।
এদিকে, প্রায় ৩০ বছরের চাকরিজীবনের অবসান ঘটিয়ে ভারপ্রাপ্ত উপঅর্থমন্ত্রী ডেভিড লেব্রিক স্বেছায় পদত্যাগের পরই ডোজের নতুন অধিকারের খবর চাউড় হয়। মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়াশিংটন পোস্টে শুক্রবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ডোজের পক্ষ থেকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সংবেদনশীল তথ্যে অ্যাক্সেস পাওয়ার অনুরোধ করলে পদত্যাগ করেন লেব্রিক।
এই প্রতিবেদনের পরদিনই নিজ মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে লেব্রিকের পদত্যাগ নিয়ে একটা পোস্ট করেন মাস্ক। তিনি দাবি করেন, যে কোনও পেমেন্ট অনুমোদনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের ওপর। ক্যারিয়ারে একবারের জন্যও তারা কোনও পেমেন্ট নাকচ করে দেননি। এমনকি জালিয়াতিতে জড়িত বা সন্ত্রাসীদের ক্ষেত্রেও নয়।
নিজের দাবির স্বপক্ষে অবশ্য কোনও প্রমাণ পেশ করেননি তিনি।
ইলন মাস্ক ও আরেক ধনকুবের বিবেক রামাস্বামীর যৌথ উদ্যোগে ডোজে গঠন করা হয়। তবে ওহাইও অঙ্গরাজ্যের গভর্নর পদের জন্য লড়াইয়ের চিন্তা করছেন বলে পরবর্তীতে ডোজে থেকে সরে দাঁড়ান রামাস্বামী। ডোজের মাধ্যমে ফেডারেল বাজেটে কয়েক বিলিয়ন ডলার কাটছাঁট ও প্রশাসনে লোকবল হ্রাসের অঙ্গীকার করেছিলেন তারা।