মাগুরা: অবশেষে মাগুরায় ফিরলো শিশুটি। তবে জীবিত নয়, তার মরদেহ এসেছে সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারে করে।গত ০৫ মার্চ দিবাগত গভীর রাতে ধর্ষণের শিকার হওয়ার পর থেকেই শিশুটি জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে ছিল। শেষ পর্যন্ত বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দুপুরে মৃত্যুর কাছে হার মানতে হয়েছে তাকে।
শিশুটির মরদেহবাহী হেলিকপ্টারটি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে মাগুরা স্টেডিয়ামে অবতরণ করে। হেলিকপ্টারটিতে আরও এসেছেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা পারভীন, নাগরিক কমিটির নেতা সারজিদ আলম, হাসনাত আব্দুল্লাহ এবং খেলাফত আন্দোলনের নেতা মামুনুল হক।
ঢাকায় শিশুটির চিকিৎসাকালীন সময়ে সবসময় পাশে থাকা মা ও মামাও হেলিকপ্টারটিতে মাগুরায় আসেন। মাগুরায় নামার পর মা কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, ‘ধর্ষণকারীরা আমার মনিরে বেলেট দিয়ে কেটে কেটে হত্যা করতে চেয়েছিল। আমি ওগের ফাঁসি চাই’।
হেলিকপ্টার থেকে মরদেহ একটি অ্যাম্বুলেন্সে তুলে শিশুটির গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে রাতে নামাজে জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হবে বলে জানানো হয়েছে পরিবারের পক্ষ থেকে।
এদিকে, শিশুটির মরদেহবাহী হেলিকপ্টার আসার সময় স্টেডিয়ামে আরও উপস্থিত ছিলেন মাগুরার জেলা প্রশাসক অহিদুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মিনা মাহমুদাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তা এবং রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী।
নাগরিক কমিটির নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে ৯০ দিনের মধ্যে ধর্ষণকারীদের বিচার কার্যক্রম শেষ করতে হবে। এমনভাবে এই ধর্ষণের বিচারকার্যক্রম শেষ করতে হবে যাতে বাংলাদেশের প্রচলিত আইনে আর কোন মানুষ ধর্ষণের সাহস না দেখায়।