1. admin@bartomankagoj.com : admin :
বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫, ০৬:৩৭ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
ঢাকার জার্মান দূতাবাসে ভিসার অপেক্ষায় ৮০ হাজার শিক্ষার্থী লি‌বিয়া থে‌কে বৃহস্পতিবার দে‌শে ফির‌ছেন ১৭৬ বাংলাদেশি পাকিস্তানে ট্রেনের নিয়ন্ত্রণ নিল বিচ্ছিন্নতাবাদীরা, কয়েকশ যাত্রী জিম্মি নীতিগত বিরোধ হবে, তবে জুলাইয়ের ঐক্য থেকে সরব না: নাহিদ হাবীবুল্লাহ বাহার কলেজের উপাধ্যক্ষ হত্যায় দম্পতি গ্রেপ্তার বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তিতে ২২ ক্রিকেটার, নাম প্রত্যাহার রিয়াদের টাকার অভাবে জন্মদিনে রসগোল্লা কাটতেন পরিণীতি! ৫ দাবিতে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজের চিকিৎসকদের বিক্ষোভ রাস্তায় নারীকে লাঠি দিয়ে পেটানো যুবক ডিবির হাতে গ্রেপ্তার কানাডার প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন মার্ক কার্নি

সাংবাদিকতার বড় চ্যালেঞ্জ সত্যকে ধারণ করে মিথ্যার সঙ্গে লড়াই করা: কাদের গণি চৌধুরী

বর্তমান কাগজ ডেস্ক :
  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ৪ মার্চ, ২০২৫
  • ১১ বার পঠিত

ঢাকা: বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী বলেছেন, সাংবাদিকতার চ্যালেঞ্জ অনেক বড়। সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ সত্যকে ধারণ করে মিথ্যার সঙ্গে লড়াই করা।

তাই সত্য নিয়ে কাজ করলে ঝুঁকি থাকে বেশি। এদিক বিবেচনায় সাংবাদিকতা সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ পেশা। সাংবাদিকতায় ঝুঁকি থাকবেই। ভয়কে জয় করাই সাংবাদিকের কাজ। সজাগ ও সচেতন থাকলে সৎ ও নিষ্ঠাবান সাংবাদিকরা হারিয়ে যাবে না। সাংবাদিকতার ডিকশনারি থেকে সততা ও পেশাদারিত্ব শব্দ দুটি কখনোই বিলীন হতে দেওয়া যাবে না। অসৎ আর হলুদ সাংবাদিকতার মর্যাদাকে ম্লান করে দিচ্ছে।

মঙ্গলবার (৪ মার্চ) খুলনা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ বলেন।

এ সময় বিএফইউজের সহকারী মহাসচিব এহতেশামুল হক শাওন, এইচ এম আলানুদ্দিন, রাশিদুল ইসলাম, আব্দুর রাজ্জাক রানা, মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন খুলনার সভাপতি আনিসুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক হিমালয় প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

কাদের গণি চৌধুরী বলেন, সাংবাদিকের অন্যতম কাজ বস্তুনিষ্ঠতা ও সত্যের আরাধনা। এজন্য সত্য ও বস্তুনিষ্ঠতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মনে রাখবেন যে প্রতিবেদকের যোগাযোগ যত ভালো তার প্রতিবেদন তত উন্নততর এবং বস্তুনিষ্ঠ হয় এবং দর্শক, পাঠক ও শ্রোতার কাছে ততটা গুরুত্ববহন করে। অনুমান নির্ভর লিখা সাংবাদিকতা নয়। সাংবাদিক হতে হবে পুরো সত্য, আংশিক নয়।

তিনি বলেন, গণমাধ্যমকে বলা হয় রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। অপর তিনটি স্তম্ভ হচ্ছে- আইনসভা, বিচার বিভাগ ও নির্বাহী বিভাগ। বোঝাই যাচ্ছে গণমাধ্যমের গুরুত্ব ও অবস্থান কোথায়। জনস্বার্থ অভিমুখী মুক্ত গণমাধ্যম ছাড়া একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র পূর্ণতা পায় না। সরকার ও প্রশাসনের অসংগতি ধরিয়ে দেওয়াসহ জনগণের সংগ্রামের সহযোদ্ধা হিসেবে গণমাধ্যমকে অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকা পালন করতে হয়। কিন্তু আজ বাংলাদেশে সেটি খুব একটা হচ্ছে না। বিশেষ করে পতিত সরকার এদেশের সাংবাদিকতার সর্বনাশ করে গেছে। এক ধরনের দলদাস সাংবাদিক তৈরি করে তাদের দিয়ে অসত্য লিখিয়ে গণমাধ্যমের প্রতি মানুষের যে আস্থা ছিল তা নষ্ট করে ফেলেছে। সত্যনিষ্ঠ সাংবাদিকতার মাধ্যমে জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে।

কাদের গণি চৌধুরী বলেন, আমাদের মনে রাখতে হবে গণমাধ্যম হচ্ছে রাষ্ট্রের পাহারাদার। গণমাধ্যমই সঠিক পথ বাতলে দেয় যাতে সরকার, প্রশাসন ও জনগণ সঠিক পথে পরিচালিত হতে পারে। গণমাধ্যম সরকার, প্রশাসন ও জনগণের প্রতিপক্ষ নয়, তবে জনস্বার্থে নজরদারি করবে। কাজেই বলিষ্ঠ ও শক্তিশালী গণমাধ্যম ছাড়া জনস্বার্থের রাষ্ট্রব্যবস্থা শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড়াতে পারে না। রাষ্ট্রের অন্য তিনটি স্তম্ভ নড়বড়ে হয়ে গেলেও চতুর্থ স্তম্ভ শক্ত থাকলে রাষ্ট্রকে গণমুখী রাখা যায়। আর চতুর্থ স্তম্ভ নড়বড়ে হলে রাষ্ট্রব্যবস্থা গণবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে, রাষ্ট্র বিপদগ্রস্ত হয়।

সন্ধ্যায় তিনি খুলনা প্রেস ক্লাবের ইফতার মাহফিলে অংশ নেন। ইফতার মাহফিলে খুলনা প্রেস ক্লাবের আহ্বায়ক এনামুল হক, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন, রিয়ার অ্যাডমিরাল গোলাম সাদেক, রিয়ার অ্যাডমিরাল শাহিন রহমান, ডিআইজি রেজাউল হক, বিভাগীয় কমিশনার ফিরোজ সরকার, খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা শফিকুল ইসলাম মনা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এই ক্যাটাগরির আরও খবর

ফেসবুকে আমরা